Saturday, July 16, 2016
★★প্রথম মিলনে রক্তক্ষরন প্রসঙ্গেঃ ভুল ধারনা★★ সব সময় প্রথম মিলনে রক্ত বের হয় না। নারীর যৌনাঙ্গে সতীচ্ছেদ নামের পর্দা ৯/১০ বছর বয়সে সাঁতার কাটা কিংবা খেলাধুলা করার সময় আপনা থেকেই ফেটে যেতে পারে। তাই রক্ত বের হবার সাথে একজন নারীর সতীত্ব জড়িত নয়। আবার অনেকে মনে করেন প্রথমদিন স্ত্রী মিলনকালে কান্নাকাটি-চিল্লা-পাল্লা না করার মানেই হলো সে অভ্যস্থ ছিল (অর্থাৎ আগে অন্যের সাথে শাররীক সম্পর্ক ছিলো ইত্যাদি ইত্যাদি..) বিধাতা নারীর যৌনাঙ্গকে এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন "যেন এটি যেকোন আকারের লিঙ্গকে গ্রহন করতে পারে" একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী মোটা/চিকন/লম্বা/খাটো সব লিঙ্গের চাপ সইতে পারেন। যদি মিলনের পুর্বে নারী ঠিক মত উত্তেজিত হয় তাহলে যোনীতে যে পিচ্ছিল রস নিঃসরন হয় তা মুলতঃ ব্যথামুক্ত মিলনের জন্যই হয়ে থাকে। যেখানে বিধাতা নারীকে ব্যথামুক্ত মিলনের জন্য এমন সৃষ্টি রহস্য জুড়ে দিয়েছেন সেখানে আপনি কেন চাইবেন যে মানুষটি সম্পুর্ন জীবন কাটানোর জন্য আপনার ঘরে এসেছে - তার শুরুটা হউক কষ্টকর অভিজ্ঞতা দিয়ে? অনেক নারীই মিলনে ব্যথা অনুভব করেন। এমন কি বিয়ের ১০/১৫ বছর পরও। তবে সবাই চিৎকার চেচামেচী করেন না। নিরব থাকার মানে এটা নয় যে নারী আগে থেকে যৌনকাজে অভ্যস্থ। তবে অনেক নারী চালাকি করে প্রথমদিকে এমন ভাব করেন যেন তিনি সইতে পারছেন না! অতএব ব্যথা পাওয়া না পাওয়ায় নারীর সতীত্ব প্রমান হয় না। আরো মজার ব্যপার হলো নারীর যোনী ৪৫ ডিগ্রি কৌনিক অবস্থায় থাকে এবং উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষের লিঙ্গও ৪৫ ডিগ্রিতে উর্দ্ধমুখী উত্থান হয়। ফলে অনায়াসে মিলন কাজ সম্পর্ন করা যায়। এ নিখুত সৃষ্টি রহস্য বিধাতাই আমাদের শরীরে রেখেছেন। সবচেয়ে জরুরী যে বিষয়ঃ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে দুই জিনিস থাকলে সংসার টিকবে না - টিকলেও অশান্তির বাসা হবে। ১. অহংকার (যদি বউ মনে করে আমি তার চেয়ে বেশি যোগ্য - কিংবা স্বামী মনে করে সে আমার তুলনায় নিন্ম। ২. অবিশ্বাস আর ভালবাসা একত্রে বসত করে না। আমাদের দেশে অনেক মেয়ে বিয়ের সময় মুখে কবুলও বলে না। আর কাগজে রেজিষ্ট্রি সমাজকে দেখানোর জন্য। বিয়ে মুলত হয় মন আর মনের। যে পুরুষ বিয়ের দিনেই বউকে সামান্য ভুল ধারনার কারনে অবিশ্বাস করতে শুরু করে তার ভবিষ্যত কতটা অসুখের তা কল্পনা করতে গা শিউরে উঠছে! ভাই যাকে নিয়ে আমার সারা জীবন পথ চলতে হবে অজ্ঞতা বশত তাকে যদি সন্দেহ করা শুরু করি তবে বিয়ে করার কি দরকার ছিল? সবকথার শেষ কথা "বিশ্বাস করতে এবং বিশ্বাস রাখতে শিখুন - সুখি থাকবেন" মেয়েরা - দয়া করে মাত্র ১০/১৫ মিনিটের শাররীক আনন্দের জন্য সারাজীবনের জন্য কলঙ্কিত হবেন না। বিয়ের আগ পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরুন। হ্যাঁ হয়তো একটি ছেলে ধরতে পারবে না আপনি সতী নাকি অসতী! কিন্তু বুকে হাত রেখে বলতে পারেন, আপনি অনুশোচনায় নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন? লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে পরবর্তী পোস্টের জন্য অপেক্ষাতে থাকুন। ধন্যবাদ সবাইকে। ******************
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment